সৃষ্টিই বা সৃষ্টি-প্রক্রিয়াই পরমাত্মাকে বা দিব্য সত্তাকে—বোঝার সবচেয়ে সহজগম্য দ্বার। স্রষ্টা সূক্ষ্ম, রহস্যময় এবং শেষ পর্যন্ত অজ্ঞেয় হলেও তাঁর কর্ম, বা কৃত, আমাদের সামনে উন্মুক্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে—একটি বীজের অঙ্কুরোদ্গম থেকে একটি নক্ষত্রের জন্ম পর্যন্ত—যেখানে অনুভব করা যায় তাঁর অদৃশ্য হাতের এক লুকানো শিল্পকলা।

সৃষ্টি ও পরমাত্মা: উপলব্ধির এক অনন্ত যাত্রা

এই উদ্ভাসনের কোনো অংশই আকস্মিক নয়; সৃষ্টি এগিয়ে চলে উদ্দেশ্য, অভিপ্রায় ও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশ নিয়ে। বিশ্বব্রহ্মাণ্ড চলে তার নিজস্ব প্রাকৃত ও সুচারু নিয়মে, যা অস্তিত্বের অন্তর্গত ছন্দ ও কাঠামোকে রূপ দেয়।

তবু এক গভীর বৈপরীত্য রয়ে যায়: সৃষ্টি যদিও ঈশ্বরের উপস্থিতি প্রকাশ করে, তবু কখনোই তাঁকে সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করতে পারে না। সীমাহীন কারণকে তার সীমিত ফলের মাধ্যমে বোঝা যায় না। সত্য উপলব্ধি জন্মায় তখনই, যখন আমরা সৃষ্টির নিদর্শন ও উদারতাকে চিনতে শিখি এবং একই সঙ্গে বিনীত থাকি সেই অন্তহীন রহস্যের সামনে—যে রহস্য স্রষ্টা উন্মোচন করেন, কিন্তু কখনোই পুরোপুরি প্রকাশ করেন না।

—একটি প্রতিফলন, যা নিঃশব্দে গঠিত হয়েছে আমার পড়া, আমার অভিজ্ঞতা, এবং আমার ভেতরে এখনো যা ক্রমাগত উদ্ভাসিত হচ্ছে তার মধ্য দিয়ে।

-